বিশেষ প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার খনিজ শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন গুড়গুড়ি পল্লীতে বাবুল মিয়া নামক এক মামলা বাজের হয়রানি মুলক প্রায় ডজন খানেক মামলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।
জানা গেছে, উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের গুড়গুড়ি গ্রামের মৃত্যু মোখলেছ উদ্দিন গাছুয়ার পালিত পুত্র মোঃ বাবুল মিয়ার সঙ্গে আপন ভাতিজাদের জমি জমা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে অব্যাহত ভাবে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করা হচ্ছে।
সর্বশেষ গত ০৮/০৪/২৫ইং তারিখে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল জজ আদালত দিনাজপুর - এ ১। মোঃ মজিবুল গাছুয়া ২। মোঃ মফিজুল ৩। মোঃ শরিফুল ইসলাম সর্ব পিতা - মৃত্যু মোজাম্মেল হক ৪। মোঃ সাহিদার রহমান ৫।মোঃ আব্দুল মোন্নাফ ৬। মাওঃ মেনহাজুল হক সর্ব পিতা - মৃত্যু মোফাজ্জল হোসেন ৭। রুহুল আমিন ৮।মোঃ রেজাউল পিতা মৃত্যু এজাব উদ্দিন ৯। মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিতা- মোঃ মফিজুল হক ১০। মোঃ মামুনুর রশীদ পিতা শরিফুল ইসলাম ১১। মোঃ খাদেমুল ইসলাম পিতা মোঃ আঃ মোন্নাফ ১২। মোঃ মজনু মিয়া পিতা- মৃত্যু এমদাদুল হক সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করেন।
মামলার ৪ নং আসামি আলহাজ্ব সাহিদার রহমান আক্ষেপ করে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন ধর্ষন মামলায় আপন ভাই ভাতিজা চাচা সবাইকে আসামি করা হয়েছে যা হাস্যকর ব্যাপার, মামলার আরজিতে সকাল ৮ ঘটিকায় প্রকাশ্য রাস্তার উপর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছে যা সঠিক তদন্তে অবশ্যই মিথ্যা বলে প্রমানিত হবে।
মাওলানা মেনহাজুল হক বলেন, আমার চাচা নিঃসন্তান ছিলেন পালিত পুত্র বাবুল মিয়াকে অনুগ্রহ করে কিছু সম্পত্তি দানপত্র কাগজ মুলে দিয়ে গেছেন তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই, অথচ সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে মৃত্যু সমশের আলীর ছেলে মোঃ হারুন পুলিশের প্ররোচনায় নিরপরাধ সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির যৌক্তিকতা কি?
মামলার নথি পত্রে দেখা গেছে, প্রতিটি মামলায় একই ১২ জন ব্যাক্তিকে আসামি এবং একই সাক্ষীগনকে তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি আসামী এবং স্বাক্ষীদের পৃথক পৃথক মামলায় ক্রমিক নং পর্যন্ত একই। গত২৯/৪/২৪ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদাল (পার্বতীপুর) সি, আর মামলা নং ২২৭/২৪ এ মোঃ মজিবুল গাছুয়া গং সহ একই ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অনুরূপ কায়দায় গত ০৭/০৪/২০২৪ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত পার্বতীপুরে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বাদী মোঃ বাবুল মিয়ার প্রতিটি মামলায় একই ১২ জন ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করাই প্রমান করে মামলা গুলো কতটা হয়রানি মুলক।
মামলার বাদী মোঃ বাবুল মিয়া জানান, ১০৯ সি/২০২২ এবং ২৩০/২০২২, সিআর ২২৯/২০২৪ সহ আটটি মামলা চলমান রয়েছে, এভাবে মামলা করছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, জমিতে চাষাবাদ করতে পারি না বাধ্য হয়ে মামলা করেছি, তবে মধ্যপাড়া বাজারের মৃত্যু সমসের আলীর পুত্র হারুন পুলিশের সহায়তা এবং পরামর্শেই আমি আইনি লড়াই করছি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহিলা ইউপি সদস্য আনজুআরা জানান, ঘটনার সঙ্গে যারা আদৌও সম্পৃক্ত নয় তাদের নামে ও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মহল্যাবাসীকে হয়রানি করা হচ্ছে, ইউপি সদস্য হওয়ার পরেও আমাকে আসামি করা হয়েছিল যা অনাকাঙ্ক্ষিত। সচেতন মহলের অভিমত এভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে অব্যাহত মামলায় সমাধান মিলবে না তাই শান্তিপুন্য সহাবস্থানের জন্য সংকট নিরসনে উদ্যেগ গ্রহন প্রয়োজন।